Home শিক্ষা আজ বিজয়ের দিন

আজ বিজয়ের দিন

by shikkhasamachar
0 comment

মোঃ আব্দুল্লাহ আল (সিফাত), ছাত্রঃ ঝালকাঠি এন এস
কামিল (মাদ্রাসা) গ্রুপঃ বিজ্ঞান

 

আমাদের বাংলাদেশের জন্য (১৬ ডিসেম্বর) দিনটি হলো গৌরবময় একটি দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

৩০ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের দামে অর্জন আমাদের মহান বিজয়। গৌরবদীপ্ত ও সাহসী জাতি হিসেবে আমাদের কাছে ১৬ ডিসেম্বর বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। বছরের একটি মাত্র দিন হলেও জাতির মনে এক ভিন্নতর ভঙ্গী ও অনুভূতি শব্দায়মান হয়ে ওঠে। আলোকোজ্জ্বল এ দিনটি আমাদের সামগ্রিক জীবন ও ইতিহাসে বিরাজ করে যাচ্ছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিজয় দিবস উদযাপন নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলোঃ

পবিত্র কোরআন কারিমে দু’টি সুরায় বিজয় দিবসের কর্মসূচি বর্ণনা করা হয়েছে। সূরাদ্বয়ের একটির নাম হলো সুরা ফাতাহ, অপরটির নাম সুরা নাসর। ‘ফাতাহ’ অর্থ বিজয়, আর ‘নাছর’ অর্থ মুক্তি বা সাহায্য।

দেশ-স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে দেশ ও মাটির গাদ্দারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ দখলমুক্ত করার নাম বিজয়। আর বিজয় অর্জনের পেছনে অলৌকিক শক্তির নাম হচ্ছে নাসর বা সাহায্য।মহান রাব্বুল আলা-আমিন সুরা নাছরের প্রথম আয়াতে এরশাদ করেন,‘যখন তোমাদের বিজয় আসবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে, তখন দেখবে, দলে দলে মানুষ ইসলাম ধর্মে প্রবিষ্ট হচ্ছে’।মহান রাব্বুল আলামিন তিনটি কর্মসুচি এই সুরায় ঘোষণা করেছেন। সেগুলো হল: ১.ফাসাব্বিহ, (আল্লাহর তাসবিহ পাঠ তথা পবিত্রতা বর্ণনা করা) পাঠ করা। ২. বিহামদী রাব্বিক, (আল্লাহর হামদ তথা শুকরিয়া) আদায় করা। ৩. ওয়াসতাগফীর, (যুদ্ধের সময় ভুলভ্রান্তি তথা সীমালংঘন থেকে রবের কাছে ক্ষমা চাওয়া) প্রার্থনা করা।স্বাধীনতা এবং বিজয় একমাত্র মহান করুণাময় আল্লাহ তায়ালারই দান। আল্লাহ তায়াআলার অশেষ করুণার বদৌলতেই আমরা দেশ বিজয় করতে পেরেছি। তাই শুকরিয়াও করতে হবে তারই। অতএব তিনটি কর্মসুচি পালনের মাধ্যমেই আমাদেরকে বিজয়ের আনন্দ করতে হবে। বিজয়ের দিন শুকরিয়া নামাজ পড়া সুন্নত।

★মোঃ আব্দুল্লাহ আল (সিফাত)
★ছাত্রঃ ঝালকাঠি এন এস
কামিল (মাদ্রাসা)
★গ্রুপঃ বিজ্ঞান।

You may also like

Leave a Comment