Home সারাদেশ কলাপাড়ায় ২হাজার মিটার বেড়িবাঁধ নড়বড়ে আতংকে ৬ গ্রামের মানুষ

কলাপাড়ায় ২হাজার মিটার বেড়িবাঁধ নড়বড়ে আতংকে ৬ গ্রামের মানুষ

by shikkhasamachar
0 comment

 

মো. সাইদুর রহমান সাইদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোনাতলা নদী। এই নদীর কোল ঘেঁষে আছে ৬টি গ্রাম। এই গ্রামের মূল বেড়িবাঁধের ২হাজার মিটার নড়বড়ে অবস্থা। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব বেশি হলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে চেনা জনপদ মুহূর্তে পরিণত হবে অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে। পানির স্রোত আর বাতাসের তীব্রতায় সহায় সম্ভল হারিয়ে নিঃস্ব হতে সময় নিবেনা।

স্থানীয়দের দাবি, ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের টিকসই উন্নয়ন। বছরের পর বছর জোড়াতালি দেয়া হচ্ছে। যা বর্ষা মৌসুমে ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। শত শত একর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে যায়। এখন আর জোড়া তালির কাজ চাননা।

 

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুল বেড়িবাঁধ নাই। কিছু কিছু যায়গায় বাঁধ থাকলেও তা অর্ধেক আছে৷ যে কোন মূহুর্তে ভেঙে বিলিন হয়ে যাবে যদি ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাত হানে। আতংক আর হতাশা নিয়ে বেঁচে আছে এ এলাকার মানুষ।

এছাড়াও বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় কলাপাড়ার ধুলাসার, লালুয়া, মহিপুর, লতাচাপলী ও চম্পাপুর ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের বাইরে সাগর ও নদীর তীরঘেঁষে প্রায় তিন হাজার পরিবার বসবাস করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে।

গৈয়াতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আরিফ বিল্লাহ জয় বলেন, আমরা যে কোন ঝড় বন্যায় আতঙ্ক নিয়ে থাকি। সাধারণ জোয়ারে পানি ভিতরে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আমরা ত্রান চাইনা এখন আর বাঁচার অধিকার চাই। শক্ত টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।

একই এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, শক্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করে দিলে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারতাম। যে কোন হালকা বাতাসে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। আমরা আর কত অপেক্ষা করলে বেড়িবাঁধ হবে।

এবিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চঃদাঃ) মো. খালেদ বিন ওলীদ বলেন, আমরা অনেক বেড়িবাঁধ ইতিমধ্যে মেরামত করে ফেলছি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলার কিছু এলাকায় ভাঙ্গন আছে তাও শীঘ্রই মেরামত করার সর্বোচ্চ প্রচেস্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

You may also like

Leave a Comment