• মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
জাতীয় সরকার প্রধান মিয়ানমারের ভূমিকম্প-প্রভাবিত এলাকায় দ্রুত সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদান মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার করালেন ইসলামী ছাত্রশিবির ১৭৫ পরিবারের দুঃখ পায়ে পায়ে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের পুনর্বাসন ঘর দ্রুত হস্তান্তরের দাবিতে মানববন্ধন এবার ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন সাগর পারের শিল্পী ঝর্না কুঞ্জল কলাপাড়ায় পৈত্তিক সম্পত্তির বাড়িতে জোর দখল করে ভাগ বসালেন প্রতিবেশী কালাম ! কুয়াকাটা ট্যুর গাইড বই’ কুয়াকাটা’র পথে প্রান্তরে’র  মোড়ক উন্মোচন কুয়াকাটায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা জব্দসহ ১৬জন ইয়াবাপাচারকারী আটক কুয়াকাটায় রোটারি ক্লাব অব ঢাকা ফোর্টের শীতবস্ত্র বিতরণ।।

কলাপাড়ায় পৈত্তিক সম্পত্তির বাড়িতে জোর দখল করে ভাগ বসালেন প্রতিবেশী কালাম !

Reporter Name / ২৪ Time View
Update : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫

 

কলাপাড়া( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।৫ মার্চ ২০২৫

একসময়ে পৈত্তিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বসবাস করতেন মোরশেদা বেগম। সংসারের অভাব অনটনের কারণে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। দীর্ঘ বছর পর ফিরে এসে দেখতে পান বসত বাড়িটুকু দখল করে নিয়েছেন প্রতিবেশী কালাম হাওলাদার। এলাকার গণ্যমান্যরা মোরশেদা বেগমের বসত বাড়িটি দখলমুক্ত করে দিয়েছেন।পরবর্তীতে ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতা মোর্শেদা বেগমের বাড়ির জমি অর্ধেক দিয়েছেন প্রতিবেশী কালাম হাওলাদারকে। বুধবার (৫ মার্চ) বিএনপি নেতার লোকজন মোর্শেদার সীমানা ভেঙে কালামের দখলে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, জেএল ৪২/৫ কুমিরমারা মৌজার ১২৮ নং খতিয়ানের ১২১৪ ও ১২১৫ নং দাগের ৮২ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন মোর্শেদা বেগমের পিতা সইজ উদ্দিন। তিনি মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সূত্রে ওই রেকর্ডীয় জমির মালিক হন মোর্শেদা বেগম ও তার বোন রানু বেগম এবং ভাই নজরুল ইসলাম। এরপর বহুবছরের পুরোনো জলকপাট ভেঙে গেলে পাউবো কর্তৃপক্ষ ওই জমির মধ্যে নতুন জলকপাট নির্মাণ করেন। মোর্শেদা বেগম জলকপাটের দক্ষিণ পাশে ৩১ শতক জমির মধ্যে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করতেন। এরপর তিনি সংসারের প্রয়োজন ঢাকায় পাড়ি জমান। দীর্ঘ বছর পরে ফিরে এসে দেখেন প্রতিবেশী কালাম হাওলাদার তার জমিটুকু দখল করে নিয়েছেন। ঢাকা থাকা অবস্থায় বিএস রেকর্ডে মোর্শেদা বেগম গংদের ৮২ শতাংশ জমি এলাকার চাটুকার কালাম বেড়িবাঁধের বাহিরে পাশে রেকর্ড করিয়েছেন। মোর্শেদা বেগমের বাড়ির জমি পাউবোর নামে রেকর্ড হয়েছে। যাতে কালাম হাওলাদার তার বাড়ির মুখশা হিসেবে ভোগ দখল করতে পারেন।

মোর্শেদা বেগম এলাকায় ফিরে আসার খবর পেয়ে ওই জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করেন কালাম হাওলাদার। পরবর্তীতে মোর্শেদা বেগম তার ঘরটি সরিয়ে নিজে বসবাস শুরু করেন। পরে বিএনপি নেতাদের মাধ্যমে মোর্শেদা বেগমের অর্ধেশ জমি দখল করে নেন।

প্রতিবেশী সানু মিয়া বলেন, এটি মোর্শেদার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি, কিন্তু আবুল কালাম জোর করে দখল করছে।

অভিযুক্ত আবুল কালামের শ্বশুর নজরুল ইসলাম বলেন, “আমার জানামতে ওই জমিতে মোর্শেদা দীর্ঘ বছর বসবাস করতেন। আমার বাড়িও এই জমির পাশেই অবস্থিত।

ভুক্তভোগী মোর্শেদা বেগম বলেন, “এটি আমার পৈতৃক জমি অথচ আবুল কালাম জোর করে এটি দখল করছে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি স্থানীয় নেতাদের এনে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।”

আবুল কালাম বলেন, “সরকার যখন সুইজগেট তৈরি করে, তখন জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। পরে সরকার পার্শ্ববর্তী জমি থেকে তাঁদের ৮২ শতাংশ জমি দিয়েছে। বর্তমানে এটি সরকারের খাস জমি হিসেবে বিএস রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। আমার বাড়ির সম্মুখের খাস জমি আমিই দাবীদার।

এ বিষয়ে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমি স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে খাস জমির কিছু অংশ কালাম হাওলাদারের দখলে রেখে বাকি জমি মোর্শেদা বেগমকে বুঝিয়ে দিয়ে সীমানা পিলার স্থাপন করে দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে শুনলাম প্রভাবশালী এক নেতার লোকজন গিয়ে আমাদের সীমানা সরিয়ে অর্ধেক জমি কালামের দখলে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি কামরুজ্জামান শহীদ মাতুব্বর বলেন, বিরোধীয় ওই খাস জমিটুকু নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে বিরোধ চলমান রয়েছে। আমি স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সমান অংশে ভাগ করে দিয়েছি।

# # #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ